A ads 1

Monday, June 22, 2020

Mohasthangar

বাংলাদেশে আবিষ্কৃত হওয়া পুরাকীর্তি নগরগুলোর মধ্যে মহাস্থানগড় অন্যতম। মহাস্থান গ্রামে আছে প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধনের নগরী পুণ্ড্রনগরের অবশিষ্টাংশ। খ্রিষ্টপূর্ব ৩ সালে এখানে একটি পাথরখণ্ড আবিষ্কৃত হয়। যেটিতে প্রাকরিত ভাষায় ভ্রামি হস্তলিপির ছয়টি পংতি লেখা ছিল। এই সুরক্ষিত এলাকাটি ১৮শ শতাব্দী পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়। এখানে রয়েছে শাহ সুলতান বাল্কি মাহি সাওআরের মাজার যিনি মহাস্থানে এসেছিলেন অমুসলিমদের মধ্যে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে। তিনি অনেক অমুসলিমকেই ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে সফল হয়েছিলেন।


দুর্গের অভ্যন্তরে খননকরা টিলা সমূহ হলঃ

১। বৈরাগীর ভিটাঃ ৪ যুগ ধরে এটি নির্মিত হয়েছিল। খননের পর কিছু মন্দিরের অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়। ২টি মূর্তি খচিত কষ্টিপাথরের পিলার সংরক্ষণ করা হয়।

মানকালির দ্বীপঃ এখানে প্রাপ্ত প্রত্নতত্ত্বর মধ্যে রয়েছে পোড়ামাটির অলংকার ও থালা বাসন, তাম্র দিয়ে তৈরি গণেশের মূর্তি এবং পনেরো গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের অবশিষ্টাংশ।

ভীমের জঙ্গলঃ বগুড়ার উত্তর পূর্ব থেকে আরম্ভ হয়ে উত্তরে দামুকধারের বিট নামক স্থান পর্যন্ত এই জায়গাটি বিস্তৃত। এই জায়গাটির সাথে সামরিক এলাকার মিল পাওয়া যায় কেননা এখান থেকেই থেকে দেশের পূর্বাংশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করা হত।

রোজাকপুরঃ গোকুল থেকে পশ্চিমে যাওয়ার পথে আপনাকে হরিপুর গ্রামের পশ্চিম দিয়ে যেতে হবে। রোজাকপুর গ্রাম চাদনিয়া হাটের কাছে বগুড়া ক্ষেতলাল সড়কে, পশ্চিম হরিপুরে এবং সমরাই বিলের পশ্চিমে অবস্থিত।

৫। মহাস্থানগড় জাদুঘরঃ মহাস্থানগড়ের অভ্যন্তরে এটি একটি ছোট এবং সমৃদ্ধ জাদুঘর। এটির চারপাশটি অনেক সমৃদ্ধ। এখানে হিন্দুদেবতাদের মূর্তি, পোড়ামাটির অলংকার ও থালা বাসন এবং পাল আমলের কিছু তাম্র মূর্তি আছে। এখানকার বাগানটি বেশ আকর্ষণীয়। মূল প্রবেশপথটি দুর্গের কাছেই অবস্থিত।


No comments:

Post a Comment